সর্বশেষ

Friday, 25 April 2025

সেন্টমার্টিনে অবৈধ স্থাপনা  বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সেন্টমার্টিনে অবৈধ স্থাপনা বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


 টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তকারির দাখিল করা ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি (চার্জশিট) গ্রহণ করেছে কক্সবাজারের পরিবেশ আদালত।


বৃহস্পতিবার দুপুরে গত ১৩ মার্চ দাখিল করা অভিযোগ পত্রটির উপর অনুষ্ঠিত শুনানী শেষে কক্সবাজার পরিবেশ আদালতের বিশেষ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ অভিযোগপত্রটি গৃহিত হিসেবে আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১০ টি স্থাপনার মালিক ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন বিচারক। যেখানে কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিও রয়েছেন। সেন্টমার্টিনের সানরাইজ রিসোর্টের মালিক হিসেবে তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে আবাসিক হোটেল নির্মাণ করে পরিচালনার অভিযোগে 

কুতুবদিয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের উপর সন্ত্রাসী হামলা : হাসপাতালে ভর্তি

কুতুবদিয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের উপর সন্ত্রাসী হামলা : হাসপাতালে ভর্তি


 ‎‎‎কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সাদমান সামিন (১০) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।


শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মগডেইল এলাকার স্ট্যাডিয়াম মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

‎ভিকটিম সাদমান সামিন স্থানীয় চাইল্ড কেয়ার একাডেমির ছাত্র।


সে জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে বেধড়ক মারধর করে।


হামলায় তার হাত, পা, বুক-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাড় ভাঙা ফোলা জখম হয়।


পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক্সরেসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা একই এলাকার নজির আহমদের ছেলে নুরুল বশর, ফারুক, খাইরুল বশর ও সাদ্দাম।


ভিকটিমের পরিবার দাবি করেছে, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সাদমানের বাবা রেজাউল করিম ধান কেটে বাড়ি ফেরার সময় সড়কে দাঁড়ানো অবস্থায় নুরুল বশরের অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন।


এরপর শুক্রবার তার ছেলে সাদমানকে একা পেয়ে নুরুল বশর ও তার ভাইয়েরা হামলা চালায়।

‎এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাহাত বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম।


সাদমানকে কয়েকজন মিলে মারধর করছিল। পরে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।”

‎এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি।


অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কক্সবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মিলছে না কিডনি রোগের চিকিৎসা

কক্সবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মিলছে না কিডনি রোগের চিকিৎসা


 

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৮৮১ সালে ২২ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। এরপর বিভিন্ন সময় আরো ৭৮ শয্যা যুক্ত করা হয়। ১৯৯৭ সালে হাসপাতালটিকে ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা হলেও হাসপাতালটিতে নেই কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট। জেলার একটি মাত্র বেসরকারি হাসপাতালে ছয় শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এ কারণে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিতে হলে যেতে হচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়।



স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বাস। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জেলায় একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণ রোগের চিকিৎসা মিললেও ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে ছুটতে হয় কিডনি রোগীদের। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে। বিগত সময় সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে নেফ্রোলজি ও ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।


রোগী ও স্বজনরা জানান, কক্সবাজারে বেসরকারি পর্যায়ে একটি মাত্র হাসপাতালে ছয় শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট থাকলেও সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এ কারণে চিকিৎসা নিতে হলে রোগীদের যেতে হয় অন্য জেলায়। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ে খরচ।


এ বিষয়ে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘জটিল এ রোগের চিকিৎসা জেলা শহরে নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া দরকার। সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নিলে আক্রান্তদের দুর্ভোগ কম হবে।’


বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে টেকনাফ থেকে রোগী নিয়ে কক্সবাজারে এসেছেন নূর আহমদ। তিনি জানান, কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। রোগীর প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিস করতে প্রতিবার ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা সদর হাসপাতালে থাকলে চার ভাগের এক ভাগ খরচ লাগত।’


জেলার কিছু সচেতন নাগরিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২৬ এপ্রিল কক্সবাজার পৌরসভার হলরুমে সমাজ প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় কক্সবাজারে দ্রুত ডায়ালাইসিস সেন্টার বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।




এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জাকির হোসেন। তিনি জানান, প্রতিদিন হাসপাতালে কিডনি সমস্যায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে একজন স্থায়ী কিডনি চিকিৎসক নেই, ডায়ালাইসিস সেন্টারও নেই।


কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক বলেন, ‘কিডনি রোগীদের ইউনিটটি চালু হলে ভালো হবে। এটি চালুর জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছি। এখন ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের জন্য কাজ চলছে আশা করছি, দ্রুতই এটি চালু হবে।’


কিডনি রোগীদের উন্নত সেবা দিতে ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৫৫ কোটি ২২ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় অন্তত ২২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার নেফ্রোলজি ও ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করার কথা রয়েছে। ওই সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শেষ সময় ধরা হয় ২০২২ সাল। তবে চার বছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোগীদের বেঁচে থাকার স্থায়ী সমাধান কিডনি প্রতিস্থাপনে বারবার তাগিদ দিলেও সরকারি পর্যায়ে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। উন্নত দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনে ক্যাডাভেরিক পদ্ধতি প্রধান হলেও বাংলাদেশে লিভিং ডোনার (জীবিত মানুষ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন) প্রক্রিয়ায় আগ্রহ বেশি। এতে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ রোগী প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। ৯৮ শতাংশ রোগীর ভরসা ডায়ালাইসিস। তবে এ সেবা সরকারি হাসপাতালে ৬০০ টাকায় পাওয়া গেলও বেসরকারিতে ব্যয় হয় ৩-৪ হাজার টাকা। খরচ মেটাতে না পেরে অধিকাংশ রোগী থাকছেন চিকিৎসার বাইরে।


এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিংঞো বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সদর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেন্টার চালুর জন্য গণপূর্ত থেকে আমরা প্রক্রিয়া শেষ করেছি। এখন কাজ চলছে স্থাপনের। এটা চালু হলে কিডনি চিকিৎসক ও ডায়ালাইসিস সেন্টারের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী পদায়ন করা হবে।

রামু সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষকে বরণ করে নিলেন কলেজ গেইট সাত ঘরিয়া পাড়াবাসী

রামু সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষকে বরণ করে নিলেন কলেজ গেইট সাত ঘরিয়া পাড়াবাসী


 প্রস বিজ্ঞপ্তিঃ

রামু সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছানুল ইসলামকে সাত ঘরিয়া পাড়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও বরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রুল সকালে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক আ হ. ম জহির, সাত ঘরিয়া ইসলামী সন্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ডা: শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নূর, রামু প্রস ক্লাবের সহ-প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আবুল কাশেম সাগর, যুগ্ন সম্পাদক মঈন উদ্দিন কাদেরী, ছাত্র নেতা ও দাতা রামু সদস্য সালামান শাহ আবীর, নরুল হক, আজিজ মিয়া, মনুসর মিয়া, আসাদ উদ্দিন, কামরুজ্জামান, মো: মামুন, মোস্তাক আহমদ, ছলিম উল্লাহসহ প্রমূখ । এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম কলেজের সার্বিক উন্নয়নে এলকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য: সম্প্রতি রামু সরকারি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম(বিসিএস শিক্ষা)।

তিনি পূর্ববর্তী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে গনিত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রামুতে অবৈধ পন্থায় বালি ও মাটির কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান: ড্রেজার জব্দ ও জরিমানা

রামুতে অবৈধ পন্থায় বালি ও মাটির কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান: ড্রেজার জব্দ ও জরিমানা

 


রামুতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ২৬ এপ্রিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল এর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।


তিনি জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় আজ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয় ঈদগড়, গর্জনিয়া ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে।

উপজেলা সদর থেকে এসব এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনকারী চক্রগুলো প্রায়শই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে প্রশাসনের সক্রিয় তৎপরতায় আজকের অভিযানে..

৩নং ওয়ার্ডের চরপাড়া ব্রিজ ও কোনারপাড়া এলাকা থেকে ২টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।

এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডের পানিস্যাঘোনা এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু পরিবহনকালে একটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করে সেটিকে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

থোয়াঙ্গাকাটা স্টেশনের পাশ থেকে ৬,০০০ ঘনফুট অবৈধ বালি জব্দ করা হয় এবং তা জনসম্মুখে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকায় স্পট নিলামে বিক্রয় করা হয়।

এছাড়া ব্যক্তিগত খতিয়ানের জমি থেকে মাটি কাটার কার্যক্রম বন্ধ করে একটি এক্সকাভেটর মেশিনের ২টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে ব্যক্তিগত খতিয়ানের জায়গা থেকে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করা হয় এবং আরেকটি এক্সকাভেটরের ২টি ব্যাটারি জব্দ


এসিল্যান্ড জানান, “মা, মাটি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে। যে যেখানে আছেন, অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখুন। সবাই মিলে এগিয়ে এলে আমরা পারবো আমাদের প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে।”

কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি


 খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলেরর অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০ (২) অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে ইতঃপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।


আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর পদে ইতঃপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।


প্রজ্ঞাপন দুইটিতে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।


এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপি যেকোনো মূল্যে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: তারেক রহমান

বিএনপি যেকোনো মূল্যে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: তারেক রহমান


 বিএনপি যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি এবং তার প্রতিটি নেতাকর্মী আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে মানুষের ভোটের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।


বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে ৩১ দফা নিয়ে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় এবং দিনাজপুর জেলা বিএনপির কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ৩১ দফার নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রশিক্ষণ সেলের নেতারা। তারেক রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা যে সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছিলাম, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। যেই সংগ্রামের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বহু নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের এই বলিদানকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।


তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে যুদ্ধ না হলে শিশু হত্যা হয় না। কিন্তু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আমরা দেখেছি সেই পলাতক স্বৈরাচারের নির্বিচার অত্যাচারের কারণে এই দেশে প্রায় ১০০ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই শিশুদের কোনো অপরাধ ছিল না। এই শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এই শিশুদের বলিদান কেন, শুধুমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কার শুরু করেছে শহীদ জিয়ার আমল থেকেই। আমরা যখন সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি তখন স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দিয়েছি। আর এখন যারা দিচ্ছেন, আপনারাই তা বিচার করবেন। আমরা যা দিয়েছি, তা পূরণ করে ছাড়ব। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া।



তিনি বলেন, আমরা শুধু ৩১ দফা দিয়েই থেমে থাকিনি, মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নেতাকর্মীদের মাধ্যমেই তা পৌঁছে দিতে হবে। দেশের ৭০ ভাগ ভালো কাজ বিএনপি করেছে। সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশের সমস্যা নিয়েই কর্মশালায় বেশি প্রশ্ন পেয়েছি। জনগণ জানে দেশের ভালো কিছু করতে পারলে বিএনপিই করতে পারবে। এই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে বিএনপিকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।


তারেক রহমান বলেন, জনমানুষের চাওয়ার সঙ্গে একটি মহলের চাওয়ার পার্থক্য রয়েছে। আমরা চাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে সব কিছু বাধাগ্রস্ত হবে। যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ভোট যদি আপনার পক্ষে আনতে হয়, তবে জনগণের কাছে যেতে হবে। যে কোনো মূল্যে জনগণের সঙ্গে থাকার কোনো বিকল্প নেই।


তিনি আরও বলেন, বিএনপির ওপর জনগণ আস্থা রাখে। তারা মনে করে দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব হলে তা বিএনপি পারবে। তাই আমি বলছি, জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। জনগণ ছাড়া আমাদের উপাই নেই। আপনারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। রাজপথে মিছিল, মিটিং, সংগ্রাম করেছেন। এবার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে দেশ গঠনের জন্য।



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতৃত্ব ছিল, তরুণ সহকর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে বয়স পার হয়ে গেছে। এটার ভুক্তভোগী শুধু ছাত্রদল নয়, এর বাইরে অনেক মানুষ আছেন। যারা স্বৈরাচারের রাজনীতি সমর্থন করতেন না। কিন্তু সরকারের পক্ষে না থাকায় তাদেরও চাকরি খেয়েছে বা চাকরি দেয়নি। এ বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছানোই হবে লক্ষ্য। নারীদের ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে অনুকরণীয় হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির আমলে নারীদের আসন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই ধারায় নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০ করা হবে।


তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চলছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কেননা বিএনপির বিরুদ্ধে একটা অদৃশ্য প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে দৃশ্যমানের দিকে যাচ্ছে, সঙ্গে আরও কিছু প্রতিপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। সেটা মোকাবিলা করার সক্ষমতা রয়েছে বিএনপির। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।



কর্মশালায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, পঞ্চগড় থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদসহ দিনাজপুর জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল 

হোসেন দুলাল প্রমুখ।